No products in the cart.

মৌসম ভিত্তিক ফুল ও সুদৃশ্য গাছের তালিকা
গ্রীষ্মকালে যে সকল ফুল হয় সে সকল ফুলের নাম ও জাতের নাম
ক্রোসেন্ডা :-
ক্রোসেন্ডা(Crossandra infundibuliformis) একটি গরমের ফুল গাছ, এটি ফায়ারক্র্যাকার ফুল (firecracker flower) নামে পরিচিত, অবস্থানের উপর নির্ভর করে গাছটি বার্ষিক বা বহুবর্ষজীবী হিসাবে জন্মায়। ক্রোসেন্ডা ফুলগাছ টি উচ্চতায় প্রায় ১ থেকে দেড় মিটার (৫ ফুঁট) পর্যন্ত হতে পারে। ফুলগুলি কমলা রঙের এবং পাপড়ি গুলি অনেক স্তরে সাজানো থাকে। এটি তার উজ্জ্বল পুষ্প এবং মোমযুক্ত সবুজ পাতাগুলির জন্য বেশি জন প্রিয়।
এলামুন্ডা :-
এলামুন্ডাকে হলুদ ট্রাম্পেট, গোল্ডেন ট্রাম্পেট বা Yellow Bell ও বলা হয়। এর আকর্ষণীয় সুন্দর ফুল বছরে একবার বাগানকে আলোকিত করে। গরমের মরসুম থেকে শীতের আগে পর্যন্ত অল্প যত্ন নিলেই এই গাছ থেকে ফুল পাওয়া যায়। এলামুন্ডার বিজ্ঞানসম্মত নাম Allamanda Cathartica, এটি Apocynaceae পারিবারের অন্তর্গত, আদি নিবাস ব্রাজিল। পৃথিবীতে অনেক ধরণের এলামুন্ডার প্রজাতি রয়েছে।
অ্যাডেনিয়াম:-
অ্যাডেনিয়াম দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার সাহারা, সুদান এবং সেনেগাল মরুভূমি অঞ্চলের স্থানীয় উদ্ভিদ। অ্যাডেনিয়াম ফুলের অনেক প্রজাতি রয়েছে, যা মরুভূমির গোলাপ নামেও পরিচিত। এই উদ্ভিদ জল ছাড়াও পাত্রে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে। একটি নির্দিষ্ট পাত্রে দশ থেকে বিশ বছর রেখে দিলে স্বাভাবিকভাবেই তা বনসাই উদ্ভিদে পরিণত হয়।
গ্র্যান্ডিফ্লোরা:-
আপনি যদি এমন একটি গাছ খুঁজছেন যার সৌন্দর্য এবং সুবাস উভয়ই আছে, তাহলে ম্যাগনোলিয়া গ্র্যান্ডিফ্লোরা ছাড়া আর কোন গাছ খুজবেন না। এটি সাউদার্ন ম্যাগনোলিয়া এবং দক্ষিণ ম্যাগনোলিয়া নামেও পরিচিত, গাছটি বৃক্ষ জাতীয়, সুগন্ধি ফুল এবং চকচকে সবুজ পাতার জন্য জনপ্রিয়, এটিকে ল্যান্ডস্কেপিংয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দ করে তোলে।
রঙ্গন:-
Ixora যা বাংলাতে বলা হয় রঙ্গন, এটি একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয়, বহুবর্ষজীবী, কাষ্টল, চিরসবুজ এবং ঝোঁপের ন্যায়। উদ্ভিদটি প্রায়শই নাতিশীতোষ্ণ এবং শীতল জলবায়ুতে বার্ষিক হিসাবে জন্মায়। বড় ফুলের গুচ্ছগুলি লাল, কমলা, হলুদ, সাদা এবং গোলাপী রঙে আসে এবং এটি অন্য স্থানে জঙ্গল শিখা এবং কাঠের শিখা নামেও পরিচিত।
শীতে যে সকল ফুল হয় সে সকল ফুলের নাম ও জাতের নাম
আস্টার (Aster Flower): –
শীতের মরসুমের সুন্দর ফুল আস্টার, আস্টার বিভিন্ন রঙের হয় যেমন, সাদা, বেগুনি, নীল, লাল, হলুদ, বাদামি প্রভৃতি। প্রতিটি মঞ্জুরির মাথায় এক বা একাধিক ফুল হয় এবং ফুলগুলি একবারই হয়। গাছ ছোট আকৃতির ও ঝোপালো হয়। এস্টার হচ্ছে ডালিয়া ফুলেরই একটি জাত।
গাজানিয়া (Gazania): –
গ্যাজেনিয়া একটি শীতকালীন ফুল। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আফ্রিকা হলেও বর্তমানে এদেশের জনপ্রিয় ফুল হয়ে উঠেছে। গ্যাজেনিয়া ফুল বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত প্রস্ফুটিত হয়, প্রায় ২-৩ সেমি ব্যাসের এবং ভিন্ন রঙের (হলুদ, গোলাপী, লাল, কমলা, সাদা) প্রভৃতি রঙের ফুলগুলি হয়। গ্যাজেনিয়া ফুল অনেকটা সূর্যমুখীর মতো দেখতে। পাহাড়ি এলাকায় এরা ভালো জন্মায়।
জিনিয়া (Zinnia): –
জিনিয়া সিঙ্গেল ও ডাবল পেটালের হয়, যা নানা রঙের হয়ে থাকে যেমন গোলাপি, সাদা, বেগুনি, হলুদ প্রভৃতি। দেখতেও ভারী সুন্দর এই ফুলগুলি। গাছের প্রতিটি ফুল ১৫ থেকে ২০দিন স্থায়ী হয়। চারাগাছ প্রতিস্থাপনের জন্য মাঝারি মাটির টব নির্বাচন করতে হবে।
ডালিয়া (Dahlia): –
শীতের মরসুমের জনপ্রিয় ফুলের মধ্য রয়েছে ডালিয়া। ডালিয়া আমাদের সকলের পরিচিত ফুল। ডালিয়া আমেরিকার মেক্সিকো থেকে এসেছে। এটি শীতের সব ফুলের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। অনেক পাপড়ি বিশিষ্ট বং-বেরঙের ফুলওলি হয়ে থাকে। কোনোটা একরঙা আবার কোনোটায় একাধিক রঙের মিশ্রণ। ডালিয়া মূলত আকারে বড় হলেও ছোট সাইজের ডালিয়াও পাওয়া যায়। ডালিয়ার চারাগাছ প্রতিস্থাপনের আদর্শ সময় নভেম্বর মাস।
সুদৃশ্য গাছ
লাভ ট্রীঃ
হৃদয় আকৃতির পাতার কারণে এদেরকে লাভ ট্রি বলা হয়। এবং বোটানিক্যাল নাম, ফিলোডেনড্রন, এসেছে “ফিলিও” যার অর্থ প্রেম এবং “ডেনড্রন” অর্থ গাছ। বোটানিক্যাল নাম: ফিলোডেনড্রন। অন্যান্য নাম: উদ্ভিদটি সিল্ক প্ল্যান্ট বা হার্ট লিফ নামেও পরিচিত।
লতানো গাছ
মধুমঞ্জরি / মধুমালতী (ইংরেজি: Chinese honeysuckle বা Rangoon creeper) লতানো গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Quisqualis indica, পরিবার Combretaceae। মাধুরীলতার হিন্দি নাম রঙ্গন-কা-বেল, বোম্বে অঞ্চলে বারমাসী, লাল চামেলী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Quisqualis indica বৈজ্ঞানিক নামের এই ফুলটির নামকরণ করেন মধুমঞ্জরি।