Cyber Monday Sale-Get Upto 67% Discount

টিম ও www এর অজানা তথ্য

আজকে আমরা জানব টিম বার্নাস লি তার বানানো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সহ ওয়েবসাইটের ধারণা, ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা, ওয়েবসাইটের ইতিহাস, টিম বার্নার্স-লির অবদান, ওয়েবসাইটের উপাদান, ওয়েবসাইটের ধরন, ওয়েবসাইট কীভাবে কাজ করে?, কেন ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন?, কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন?, SEO-এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের আপগ্রেড করা সহ আরও নানান বিষয়ে ব্যসিক আলোচনা। পরে আমরা ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করব প্রতিটা বিষয়ে বিস্তারিরত (পরের ধারাবাহিক ব্লগ গুলোই)। চলুন শুরু করি ওয়েবসাইট নিয়ে আজকের পর্ব।

কে এই টিম বার্নাস লি? 

৮ জুন ১৯৫৫ সাল, কনওয়ে বার্নার্স ও মেরি লি উডস ২ কম্পিউটার বিজ্ঞানের অগ্রগামী ব্যাক্তির কোলে জন্ম নেয় World Wide Web এর জনক টিম বার্নার্স-লি। টিম বার্নার্স-লি ছিলেন তাদের চার ভাইবোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম সন্তান। তার পরিবার কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করত, যা তার ভবিষ্যৎ আবিষ্কারের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। 

টিম বার্নার্স-লি ১৯৮৯ সালে সের্ন (CERN) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। সেসময় তিনি লক্ষ্য করেন, বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা তথ্য একে অপরের সাথে সহজে শেয়ার করতে পারছেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি “ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট: আ প্রপোজাল” নামে একটি ধারণা প্রস্তাব করেন। এটাই পরবর্তীতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ভিত্তি স্থাপন করে।

বিশ্বের সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট

জানেন কি কেমন ছিল বিশ্বের সর্বপ্রথম ওয়েবসাইট? যা তৈরি করেছিলেন এই www এর জনক টিম বার্নাস-লি। ১৯৯১ সালের আগস্ট মাসে তিনি প্রথম ওয়েবসাইট চালু করেন। এই সাইটের উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে ওয়েব ব্যবহার করতে হবে এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কী, তা ব্যাখ্যা করা। সাইটটির ঠিকানা ছিল http://info.cern.ch, যা এখনও সক্রিয় রয়েছে। 

সাইটিতে বর্তমানে ৫ টি বিষয় রয়েছে। যেখানে আপনি দেখতে পারবেন বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট দেখতে কেমন ছিল, লাইন-মোড ব্রাউজার সিমুলাটোর ব্যাবহার করে দেখতে পারেন প্রথম দিকের ওয়েবসাইট দেখতে কেমন ছিল। এছাড়াও আরও জানতে পারবেন ওয়েব এর জন্ম নিয়ে বিস্তারিত। আরও জানতে পারবেন CERN সম্পর্কে, যেখান থেকেই মূলত জন্ম হয় ওয়েব এর। মূলত এটিই ওয়েব এর জন্মস্থান।

ওয়েবসাইটের ধারণা

ওয়েবসাইট হলো এক ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও পরিষেবা প্রদান করে। এটি এক বা একাধিক ওয়েবপেজের সমষ্টি, যা একক ডোমেইনের অধীনে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, Google, Facebook, এবং YouTube হলো বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত ওয়েবসাইট। প্রতিটি ওয়েবসাইট নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়, যেমন শিক্ষামূলক তথ্য প্রদান, ব্যবসার প্রচার, বা বিনোদন।

যেমন আমাদের এই ওয়েবসাইট। আমাদের এই ওয়েবসাইটটি র ডোমেইন আছে যেটি হল www.webkaku.shop। আমাদের ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে আপনাদের সাথে নানান ইনফরমেশন শেয়ার করার জন্য। এভাবেই সব ওয়েবসাইটেই কোন না কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়। আপনি গুগোল কে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে, ”বর্তমানে কি পরিমাণ ওয়েবসাইট লাইভ আছে?” সংখা টা দেখে আপনি রীতিমতো চমকে যাবেন। প্রায় ১.১৩-১.১৫ মিলিয়ন ওয়েবসাইট বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এ লাইভ আছে। 

ওয়েবসাইটের ধরন

ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, ব্লগ ওয়েবসাইট ব্যক্তিগত মতামত বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ই-কমার্স ওয়েবসাইট পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জনপ্রিয়। এছাড়াও, কর্পোরেট ওয়েবসাইট ব্যবসার প্রোফাইল তুলে ধরতে ব্যবহৃত হয়। শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি, এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি ব্যবহারকারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।

ওয়েবসাইট কীভাবে কাজ করে?

ওয়েবসাইট একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে। প্রথমে একটি ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয় এবং হোস্টিং সেটআপ করতে হয়। এরপর ওয়েবসাইটের ফ্রন্টএন্ড এবং ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পন্ন করা হয়। ফ্রন্টএন্ড হলো যেটি ব্যবহারকারী দেখতে পায়, এবং ব্যাকএন্ড হলো সেই প্রক্রিয়া যা ডেটা এবং ফাংশন পরিচালনা করে। ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।

কেন ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন?

একটি ওয়েবসাইট থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক দিক থেকে উপকারী। এটি একটি ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। কাস্টমার সার্ভিস সহজ করতে ওয়েবসাইট একটি কার্যকর মাধ্যম। কাস্টমারদের জন্য FAQ সেকশন, কনট্যাক্ট ফর্ম ইত্যাদির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়। এছাড়া, ডিজিটাল মার্কেটিং সুবিধা পেতে ওয়েবসাইট অপরিহার্য, কারণ এটি SEO এবং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার সহজ করে তোলে।

কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রথমে আপনার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি একটি ব্লগ শুরু করতে চান, তাহলে WordPress বা Wix বা blogger এর মতো প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারেন। ই-কমার্স সাইটের জন্য Shopify বা WooCommerce সেরা বর্তমানে। এরপর আপনাকে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে করতে হবে। ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ করার পর, SEO এবং মানসম্মত কন্টেন্ট প্রস্তুত করতে হবে।

উপসংহার

ওয়েবসাইট হলো আধুনিক যুগের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম। এটি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য, পণ্য বা সেবা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। একটি সঠিকভাবে তৈরি এবং SEO-ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণ করে এবং ব্র্যান্ডের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, এখনই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ডিজিটাল দুনিয়ার অংশ হোন। সবশেষে একটি কথাই বলতে চায়, প্রয়োজন থেকে সৃষ্টি হয়েছে ও প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নানান কিছু। আর সে সকল সৃষ্টির স্রষ্টা গন আজীবন মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই আপনিও এমন কিছু তৈরি করুন, চিন্তা করুন, অবদান রাখুন। শুধু শুধু রিলস আর ভিডিও দেখে কিংবা গল্প গুজব করে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না। আশা করছি আজকের ব্লগ আপনার ভালো লাগছে। ইনশাআল্লাহ্‌ সামনে আরও এমন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। ধ্যন্যবাদ ইফতি রহমান প্রোফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার ও পার্ট-টাইম কন্টেন্ট রাইটার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top